দুইদিনের ভেতর ঢাকার তিন বস্তিতে আগুন

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৩৬

সাহস ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিন স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বিহারিপট্টি ও মিরপুরের কালশী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বাউনিয়াবাদের বস্তির আগুনের ঘটনা। এসব আগুনে হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে পুড়ে গেছে কয়েক'শ ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে। সেখানে পুড়ে গেছে ২০০ ঘর ও ৩৫টির বেশি দোকান। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বস্তিতে কিছু রক্ষা পেয়েছে কি না, তার খোঁজ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। পোড়া জিনিসপত্র হাতড়াচ্ছেন। যাঁদের দোকান ছিল, তাঁরা মালামাল খুঁজছেন। বস্তির আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন খোঁজখবর নিতে আসছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত একজন বলেন, বস্তিতে ঘর ছিল ২০০টির বেশি। এখানে প্রায় ৩৫টি দোকান ছিল। সব পুড়ে গেছে। ঘটনার দিন রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট অংশ নেয়।

গতকাল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বিহারিপট্টির জহুরি মহল্লায় আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন লাগার কারণ ও হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে বেশ কিছু ঘর পুড়েছে।

সর্বশেষ আগুন লাগে রাজধানীর মিরপুরের কালশী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বাউনিয়াবাদের বস্তিতে। 

গতকাল দিবাগত রাত সোয়া দুইটার লাগা আগুনে ৪৩টি ঘর পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা রাসেল শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে ৪৩টি বসতঘর ও ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এসব আগুন লাগার ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা, না উদ্দেশ্যমূলক, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার বলে মনে করেন নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি আজ বুধবার সকালে বলেন, আগুন লাগার পর কী ঘটে, সেটা দেখতে হবে। যদি দেখা যায়, এসব আগুন লাগার স্থানে আগের অধিবাসীদেরই রাখা হয়েছে, তবে ধরা হবে, এটা দুর্ঘটনা ছিল। আর যদি এসব স্থানে নতুন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে, তবে দুর্ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল বলে মনে করা যেতে পারে।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, এসব দুর্ঘটনার ভুক্তভোগীদের সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত