রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : চু্ক্তি কাগজ-কলমেই ফাইলবন্দি বাস্তবায়নের নাম নেই

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫৬

অনলাইন ডেস্ক

 


২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ শুরুর পর ওই বছরই ২৩ নভেম্বর নাইপিদোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা মিয়ানমারের। কিন্তু কাগজে-কলমে করা চুক্তি ফাইলেই বন্দি রয়েছে, যার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি আজও। 

 এই চুক্তির ৩ বছরেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু না করায় হতাশা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকার করছে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ওপর আর আস্থা না রাখতে পারার বিষয়টি। এখন উপায় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণ করা। তবে  সেক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা হতাশাজনক বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে, তালিকাও প্রস্তুত করে দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফল শূন্য।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার বার বার অঙ্গীকার করেছে যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। কিন্তু এখন আর কিছুই বলছে না। এখন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র চীন, জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

বাংলাদেশ ভরসা করছে প্রভাবশালী দেশগুলোর ওপর। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে চীন, রাশিয়া। ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত, জাপানের মতো দেশ। সব মিলে তাদের সাম্প্রতিক ভূমিকা আশাবাদী করতে পারছে না বিশ্লেষকদের।


মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ায় চীনের উদ্যোগে আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাপানও সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে।