বিজয় দিবসের আগেই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মা সেতু

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২০, ১৩:১৯

সাহস ডেস্ক

আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসবে। বিজয় দিবসের আগেই ৬.১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতু দৃশ্যমান করার লক্ষ্য সেতু কর্তৃপক্ষের। তবে, সব স্প্যান বসলেও বাকি থেকে যাবে সেতুতে রোড ও রেলওয়ে স্লাব স্থাপন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেতু উদ্বোধন করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর (স্প্যান ১-এ) পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর পাঁচ হাজার ৭০০ মিটার। আর তিনটি স্প্যান বসলেই বাকি ৪৫০ মিটারসহ দৃশ্যমান হবে পুরো সেতু।

সেতুসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, স্প্যানটি ১৬ নভেম্বর বসানোর পূর্ব–শিডিউল ছিল। তবে নির্ধারিত পিয়ার দুটির একটি ডাঙায়, অপরটি নদীতে ছিল। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করে খুঁটি দুটির মাঝের স্থানটি স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনের চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর কারিগরি অন্যান্য বিষয় প্রস্তুত করতে আরও কয়েক দিন সময় লেগে যায়। ৩৮তম স্প্যানটি বসানোর ফলে সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হতে আর মাত্র ৩টি স্প্যান বাকি রইল। এ তিনটি স্প্যানও মাওয়া প্রান্তে বসবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর দিয়েই সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে। মাটির গঠনপ্রকৃতি ও গভীরতার তারতম্যের কারণে মাওয়া প্রান্তে বেশ কয়েকটি খুঁটির নকশা জটিলতা দেখা দেয়। এ জন্য সবচেয়ে শুরুর স্প্যান হলেও এর কাজ দেরিতে শুরু হয়। কাজের গতি সচল রাখতে মাওয়া প্রান্ত থেকে না শুরু করে জাজিরা প্রান্ত থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।

পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

আগামী বছরে বিজয়ের ৫০তম বর্ষে পদার্পণ করবে বাংলাদেশ। তাই ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগেই পদ্মা সেতু চালুর টার্গেট সেতু কর্তৃপক্ষের। সেজন্য অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত সেতুর ২৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে বসেছে ১২৩৯টি। আর রেল স্লাব ২৯৬৫ টির মধ্যে ১৮৪৮টি বসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তের ২৩৪টির মধ্যে ৩৩টি সুপার টি গার্ডার বসানো বাকি। আর মাওয়া প্রান্তে ২০৪টির মধ্যে বসানো হয়েছে ৯৫টি।

সেতু বিভাগ জানায়, ৩০হাজার ১৯৩কোটি টাকার এ প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজেরও অগ্রগতি ৮২ শতাংশ, নদী শাসন ৭৫ ও মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯১ ভাগ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত