কোর্ট চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামীর বিয়ে

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৪২

সাহস ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মো. মানিক হোসেন (২০) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাটোরের আদালত চত্বরে । বিয়ের প্রলোভনে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ওই তরুণ দুই মাস ধরে হাজত খাটছিলেন। বিয়ের পর আদালত আজ ওই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলা দায়েরের সময় ওই তরুণী তাঁর বয়স উল্লেখ করেন ১৭ বছর। তবে বিয়ের সময় তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া জন্মসনদে বয়স ১৯ বছরের বেশি।

নাটোর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম আসামির জামিন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিয়ের ব্যাপারে আদালতের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি উভয়পক্ষের অভিভাবকদের ব্যাপার।

আসামির আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম বলেন, মানিকের বিরুদ্ধে এক তরুণী গত ১৯ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে পাঠায় কারাগারে। প্রথমে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে বাদী ও আসামির পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়। তারা দুজনের বিয়ের বিষয়ে একমত হয়। আজ মানিককে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে আদালত চত্বরে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি রিয়াজুল হক তাঁদের বিয়ের নিবন্ধন করেন। বিয়েতে সাড়ে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। আসামিপক্ষ থেকে অলংকার বাবদ ১ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়। বিয়ের বিষয়টি আদালতে জানালে আদালত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন।

নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি রিয়াজুল হক বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারে কনের বয়স ১৭ বছর ও বরের বয়স ২০ বছর উল্লেখ থাকার পর কীভাবে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধন করা হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, কনেপক্ষ থেকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বয়স হয় ১৯ বছর ১১ মাস ৭ দিন। উভয়পক্ষের আপত্তি না থাকায় বিয়ের নিবন্ধন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত