হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনও চমক থাকছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৬

সাহস ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিস্তা নিয়ে হঠাৎ করে কোনও চমক বা ম্যাজিক থাকবে না। হঠাৎ করে এটি সই হবে, এটি আমরা মনে করি না। তবে যেটা হবে তিস্তাটা মোটামুটি রেডি হয়ে আছে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ডিআরইউ’র সভাপতি  রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, তিস্তা নিয়ে চুক্তি সম্মত হয়ে আছে। কিন্তু সই হয়নি। ভারত সরকার কখনও বলেনি যে, এটি তারা সই করবে না। তারা যেটা বলছে—তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সই করতে পারছে না। এটি ওই পর্যায়ে আছে। নতুন কোনও অগ্রগতি হয়নি।

তিনি বলেন, নদী বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি আগামী মাসে ভারতে যাবে এবং আলাপ করবে। বাকি সাতটি নদীর বিষয়ে একটি কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তারা বলে ফিরিয়ে নেবে, কিন্তু বাস্তবে নেয় না। পৃথিবীর বড় দেশগুলো যদি চাপ দিতো, তাহলে হয়তো ফিরিয়ে নিতো। মিয়ানমারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। রাশিয়া ও চীন মূলত এ বিষয়টি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি চায় না। তারা বলে, এটা তোমরা নিজেরা মিলে সমাধান করে নাও। তবে আমরা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।  

‘রোহিঙ্গাদের সিকিউরিটির জন্যই ভাসানচরে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু আন্তর্জাতিক এনজিও বাধা দিচ্ছে। তাদের প্ররোচণা দিচ্ছে, তোমরা সেখানে যেও না। কিন্তু রোহিঙ্গারা যেখানে থাকে, সেখানে যদি ভূমিধস হয়, সেই দায়িত্ব কে নেবে। পরে বিদেশিরা বলবে, বাংলাদেশ সরকার কিছুই করেনি। তবে আমরা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে অটুট রয়েছি।'

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনি এখনো পালিয়ে আছে। দু’জন খুনির অবস্থান জানি। একজন আমেরিকায় রয়েছে। আরেকজন কানাডায়। ইতোমধ্যে আমরা কানাডায় আইনজীবী নিয়োগ করেছি। এখনো খুব সুরাহা হয়নি। আমেরিকায় অবস্থানরত খুনিকে ফেরাতে আশা পেয়েছি। তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সব তথ্য পাঠিয়েছি, তারা একটা সিদ্ধান্ত দেবে।

পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি আটজন বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। তাদের দেশে আনতে টাকাও পাঠিয়েছি। তারা ওমান থেকে পাকিস্তানে ঢোকে। তিনমাস জেলও দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সেটা শেষ হয়েছে। পাকিস্তানে সরাসরি ফ্লাইট নেই, এখন তারা ওমানে যাবে। তারপর ওমান থেকে ফ্লাইটে দেশে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত