মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫১

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এইদিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

মাওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হবে। এ সময় মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া গণজমায়েত পরিহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে বলা হয়েছে।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। 

সাংগঠনিক রাজনীতিতে মওলানা ভাসানী কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর। তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তত্কালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার প্রয়াণ ঘটে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত