জীবননগরে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৩ জন আটক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫৫

সাহস ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের রহমানের ছেলে জনি (২৫), দেলবারের ছেলে কালু (২৮) এবং হাসমত আলীর ছেলে হৃদয় (২৮)।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, উথলী বাজারে সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ উথলী বাজার শাখায় কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। এছাড়া ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা ২ জন নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে একটি লাঠি পর্যন্ত ছিল না।

উথলী বাজারের এক দোকানি বলেন, ব্যাংক চলাকালীন অধিকাংশ সময় নিরাপত্তা প্রহরীরা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে থাকেন। ব্যাংকে নিরাপত্তার চরম ঘাটতি আছে। এদিকে খুলনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি ক্রাইম) মো. নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংক চালানোর জন্য এ ভবন মোটেও উপযুক্ত না। আজকের এ ঘটনা আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি আছে। ব্যাংকের মতো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটা সিসি ক্যামেরাও নেই। বর্তমান যুগে এটা ভাবা যায় না।

প্রসঙ্গত, রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে দিনে-দুপুরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল এ সময় অস্ত্রের মুখে প্রহরী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যান।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বেলা সোয়া একটার দিকে হেলমেট ও পিপিই পরে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকেন তিনজন। প্রথমেই তাদের একজন এক প্রহরীর গলায় ধারালো চাকু ঠেকিয়ে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে দেন। বাকি দুজন অস্ত্রের মুখে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রহরী ও গ্রাহকদের জিম্মি করে একটি ঘরে বন্দী করে ফেলেন। ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুটে নেন তারা।

এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের ভল্ট খুলে দিতে বাধ্য করেন। তবে ওই সময় টাকা তুলতে একজন গ্রাহক ব্যাংকে এসে অস্ত্রধারীদের দেখে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অস্ত্রধারীরা দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তাই ভল্টের কোনো টাকা লুট হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত