ডিমলায় সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৮:০৬

নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ বরাদ্দ, রুটিন ম্যান্টেনেন্স এবং প্রাক-প্রাথমিক খাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছে বলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর বিভাগীয় পরিচারক বরাবর এবং অনুলিপি মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মীরপুর-২ ঢাকা-১২১৬, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সভাপতি-সম্পাদক ডিমলা প্রেস ক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মোতালেব হোসেন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দের ১ লাখ ৫০ হাজার, স্লিপ বরাদ্দের ৫০ হাজার, রুটিন ম্যান্টেনেন্স ৪০ হাজার ও প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পের বরাদ্দের ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে গোপনে এসব টাকা উত্তোলন করে কোনো কাজ ছাড়াই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

অভিযোগকারী ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ নওশের আলম জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মোতালেব হোসেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ কমলা বেগমের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতসহ উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা আলমিরা, ফ্যান, চেয়ার ও বিদ্যালয়ের সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগটি সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, আসলে যে অভিযোগ করেছে তাকে টাকার ভাগ দেওয়া হয় নাই তো তাই। প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পরে  অন্য একটি নাম্বার থেকে ফোন করে বলেন, আমি সাংবাদিক আঁখি আপনী কোন পত্রিকার সাংবাদিক ? কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও কোন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আগে তথ্যদাতাকে ফোন করে বলা উচিৎ না? তথ্যদাতাকে বলতে হবে যে আপনার সাথে কথা আছে, আপনী সময় দিতে পারবেন কি না। 

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের দায়ীত্ব সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমকে দেওয়া হয়েছে তিনি এখনও তদন্ত রিপোর্ট দেয় নাই। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমের সাথে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে তবে এখনো প্রাপ্ত তদন্ত রিপোর্ট অফিসে জমা দেয়া হয় নাই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত