একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চান প্রকাশকরা

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪৬

সাহস ডেস্ক

আড্ডাবাজ লোকদের ভিড় কমাতে এবং করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো। একইসঙ্গে করোনার আর্থিক ক্ষতি ‘কিছুটা’ পুষিয়ে নিতে আগামী বই মেলায় ন্যূনতম ভাড়ায় ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেওয়ার আবেদন করেছেন তারা।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি যৌথভাবে বাংলা একাডেমির পরিচালকের কাছে ১২ দফা প্রস্তাবনা দেন।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. করোনাকাল বিবেচনায় ন্যূনতম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ।
২. সমিতির সদস্য ব্যতীত অন্য কোনও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া।
৩. বই মেলা আয়োজন কমিটিতে প্রকাশক সমিতির ৭ প্রতিনিধি রাখা।
৪. কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় একাধিক সুদৃশ্য ও বড় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রাখা।
৫. মেলার প্রবেশপথে খাবারের দোকান না রাখা, একইরকম সাজসজ্জার স্টল তৈরি করা।
৬. প্রতিটি স্টলের চারদিক উন্মুক্ত এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে স্টল স্থাপন করা।
৭. ২০২০ সালের বই মেলায় নীতিমালা ভঙ্গকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াসহ ১২ দফা দাবি।

একইসঙ্গে লিখিত প্রস্তাবের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় দর্শনার্থীদের প্রবেশে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা এবং মেলায় বিদেশি বই বিক্রিও বন্ধ চায় প্রকাশনী সংস্থা দুটি

এদিকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির দাবিগুলো নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলো নিয়ে এখনও আমরা আলোচনা করি নাই। আলোচনার পরে বলতে পারবো কোন দাবি মানা যাবে আর কোন দাবি মানা যাবে না।

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, করোনার আগে এবার বই মেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা কমতে পারে। কারণ, এবারের মেলায় বিক্রি কেমন হবে সেটা অনুমান করা সম্ভব নয়। করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। তাই অনেক প্রকাশনী সংস্থা নবীন লেখকদের বই প্রকাশের ঝুঁকি নেবে না। প্রতিবছর খ্যাতিসম্পন্ন লেখকদের পাশাপাশি নবীন লেখকদের প্রচুর বই প্রকাশিত হতো। যেটা এবার সম্ভব নয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত