কিশোরগঞ্জে মাটির নিচে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ, আটক ৪

কটিয়াদি উপজেলার জমশাইট গ্রামে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের একদিন পর বসতঘরের পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় এক শিশুসহ একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আসাদের ভাই, দুই বোন ও এক বোনের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট এলাকা থেকে গলাকাটা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন (৪৫) এবং তাদের আট বছরের ছেলে লায়ন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে আসাদ তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুমাতে যান। তবে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আসাদের দ্বিতীয় ছেলে তোফাজ্জল বাড়ি ফিরে এসে তাদের না পেলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। ঘরের ভেতর রক্ত দেখতে পেয়ে তারা আশপাশের লোকজনকে জানান। বিকেলে পুলিশে খবর দিলে কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে বসতঘরের পাশে একটি গর্তে মাটিচাপা দেয়া তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীর বাড়ির পেছনে মাটির নিচে ঢাকা অবস্থায় একটি হাত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

জমিজমা নিয়ে বিরোধ বা পারিবারিক কলহের জের ধরে দুর্বৃত্তরা তাদের হত্যা করেছে বলে পুলিশের সন্দেহ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আসাদের ভাই দীন ইসলাম, দুই বোন নাজমা ও জুমেলা এবং ভুক্তভোগীর ভাগ্নে আল-আমিনকে আটক করেছে। 

নিহত আসাদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তিনি নানাবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে তার মা-বাবা এবং ভাই নেই। ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ। এই ঘটনা প্রতিবেশী লোকজনকে জানান তিনি। পরে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বসতঘরের পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইএয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।