এরফান সেলিমের বাসা থেকে বিদেশি মদ-বিয়ার-অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২০

সাহস ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের বাসা থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া তার শয়নকক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে অভিযানের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতরে সাংবাদিকদের নিয়ে গেলে উদ্ধার এসব অস্ত্র-মাদক দেখা যায়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে সাময়িকভাবে র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকালের ঘটনা নয়, মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ভেতরে র‌্যাবের অভিযকনিক দল কাজ করছেন। এই বাড়িটি র‌্যাব ঘিরে রেখেছে। এখানে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট, র‌্যাব-৩ ও ১০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রয়েছেন।

এর আগে আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়।

ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, আজ ভোরে মামলাটি এন্ট্রি করা হয়। এজাহারে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওয়াসিফ আহমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, তিনি নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে গাড়ি চালিয়ে কলাবাগানের দিকে আসেন। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে আসেন। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো। এই বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত