ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড, আইনে পরিণত হচ্ছে অধ্যাদেশ

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৪০

সাহস ডেস্ক

ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করে জারি করা অধ্যাদেশেকে আইনে রূপ দিতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

রবিবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরের দিন (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’ জারি করেন।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১২ অক্টোবর ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিদ্যমান আইনের একটি ধারা সংশোধন করে ধর্ষণে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়। এরপর ১৩ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ‘সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অধ্যাদেশটিই আজ আইনের খসড়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ বিভাগের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভেটিং করে দেয়া হয়েছে। সংসদ অধিবেশন না থাকা অবস্থায় যদি কোনো অর্ডিন্যান্স হয় তাহলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই সেটি উপস্থাপন করতে হয়। 

আগামী ৮ নভেম্বর সংসদ অধিবেশন বসবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংসদ অধিবেশন না থাকা অবস্থায় যখন কোনো অর্ডিনেন্স হয়, তাহলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হলে প্রথম দিনই উপস্থাপন করতে হয়। সেই ড্রাফটাই আজ নিয়ে আসা হয়েছে। অর্ডিনেন্সকে আইনে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইনে একটা ছোট জিনিস যুক্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই অর্ডিন্যান্স যে বাদ হয়ে আইন হয়ে যাবে, কিন্তু অর্ডিন্যান্স চলাকালে যে কাজ-কর্মগুলোকে হেফাজত করা হয়েছে। আর অর্ডিন্যান্স রহিতকরণ হয়ে যাবে। আইনমন্ত্রী এটা যুক্ত করে দিয়েছেন।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা হয়, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।’ সংশোধিত আইন অনুযায়ী ৯(১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত