সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে “নো মাস্ক নো সার্ভিস”

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৪৯

সাহস ডেস্ক

সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করা এবং সেবা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টারের মতো থাকবে- মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, মাস্ক ছাড়া ব্যবহারও করতে পারবে না।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চারদিকে ম্যাসিভ ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে, সব স্তরেই। আমাদের যতগুলো ইনস্টিটিউশন আছে, লোকাল বা অর্গানাইজেশনাল প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছি “নো মাস্ক নো সার্ভিস”। সব প্রতিষ্ঠান, হাট, বাজার, শপিংমল, স্কুল, সামাজিক বা ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে–এই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি আমরা। গত মিটিংয়েও বলেছিলাম, আমরা ডিভিশনাল কমিশনারদের ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার দেওয়া থাকবে–মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের সব মসজিদে অন্তত দুবার নামাজের পর মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আদেশ প্রচার করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও সেটার সঙ্গে একমত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দেওয়া হবে না। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। গণপরিবহনের বিষয়েও আমরা কথা বলবো। আমরা সড়ক, নৌপরিবহন ও রেল সচিবের সঙ্গে কাল-পরশুই বসবো। সেখানে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। “নো মাস্ক নো সার্ভিস” এটা অলরেডি কনভে করা হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী ৮ তারিখ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এটি গত ২২ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। সেটার প্রেক্ষাপটে ভাষণটি আপডেট করা হয়েছে, মন্ত্রিসভা ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে। ভাষণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা থাকবে।

তাহলে মাস্ক ছাড়া কেউ এলে তাকে সেবা দেয়া হবে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢুকতেই দেয়া হবে না, আমরা বলে দিয়েছি। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। বিভিন্ন প্রডিউসার তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও তাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সেটা চালু করছেন ইনশাআল্লাহ।

করোনার সময় অন্য রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে- এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন আল্লাহর রহমতে ওই প্রবলেমটা হবে না। এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটকল চলে আসছে। ওই প্যানিকটা (আতঙ্ক) চলে গেছে। ইনিশিয়ালি (শুরুতে) তো বোঝা যাচ্ছিল না জিনিসটা কী? ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর অত ভয় পাচ্ছে না। আমি দু-একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত