আমরণ অনশনে রায়হানের মা

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৩৮

সাহস ডেস্ক

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় আমরণ অনশনে বসেছেন পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম ও তার স্বজন। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেন।

সালমা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, যারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তাদেরকে কেন এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে এ ঘটনায় জড়িত সবার নাম বেরিয়ে আসবে। এই ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সব দোষীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমার ছেলেকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে, প্রয়োজনে আমিও সেখানে মারা যাব।

১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সিলেট নগরীর নেহারিপাড়া থেকে রায়হানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডেক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে থানায় মামলা করেন। এরপর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়। 

১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত