স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক উল হক

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২৭

সাহস ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা সেখানে তাকে স্মরণ করলেন, শ্রদ্ধা জানালেন। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে তারা মূল্যায়ন করেছেন নিজের মতো করে। তবে দলমত নির্বিশেষে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীরা স্মরণ করেন এক-এগারোতে তার সাহসিকতার কথা।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে মরদেহে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইন বিচার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাংবাদিকরা।

জানাজা শেষে রফিক উল হকের মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ত্রী ডা. ফরিদা হকের কবরের পাশে বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক।

জানাজা শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউ করিম বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যু আইন অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সাংবিধানিক বিষয়ে অপরিসীম দক্ষতা ছিল তার। অসাংবিধানিক সরকারের সময়ে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। এক-এগারোর সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ও আরেক রাজনৈতিক নেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা পরিচালনা করে তিনি বিরল ‍দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন আইন অঙ্গনের দিকপাল। তিনি আমাদের শিক্ষাগুরু ও পথিকৃৎ। তিনি পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আইন পেশার সম্মান ও মর্যাদা উজ্জ্বল করে গেছেন। এক-এগারোর সময় যখন অনেক বিশিষ্ট আইনজীবীর ভূমিকা বিতর্কিত ছিল। তখন তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দুই নেত্রীর মামলা পরিচালনা করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এ আইনজীবীর মরদেহ নেয়া হয় তার পল্টনের বাসায়। সেখান থেকে দুপুর সোয়া ১২টায় মরদেহ নেয়া হয় বায়তুল মোকাররমে। জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মরদেহ তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত