আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবি, পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:০৪

সাহস ডেস্ক

পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪০ ঘণ্টার অভিযানে মরদেহ পাঁচটি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আলাদা সময়ে মরদেহ পাঁচটি উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো.মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান, আশা এনজিওর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন ও বিদ্যুতের কাজে আসা দিনমজুর মো. ইমরান।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর বিকালে নদী বন্দরে চলমান ২নং সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যায়। এসময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন তীরে আসতে সক্ষম হলেও বাকি চারজন নিখোঁজ রয়ে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি টিম।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ জানান, সকাল থেকে মরদেহগুলো আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মরদেহগুলো কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা হয়েছে। শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মরদেহ ফুলে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি, তাই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা খাজা সাদেকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার স্বীকার স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিলসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত