মেজর সিনহা হত্যা মামলার ইতিবাচক অগ্রগতি: র‍্যাব ডিজি

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১২

সাহস ডেস্ক

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হবে। মামলার তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর রমনা কালিমন্দিরে পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার (সিনহা হত্যাকাণ্ড) নিষ্পত্তি হবে। মামলার তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা সমীচীন হবে না।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এরপরও আমরা অনেক কিছু উদযাপন করেছি। এর আগে আশুরা উদযাপিত হয়েছে। এখন বিয়ের বা সামাজিক অনুষ্ঠানও সীমিত পরিসরে চলছে। এখন চলছে দুর্গাপূজা। আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আরও যেসব পূজামণ্ডপ রয়েছে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব সুরক্ষা নীতি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। আগামী বছর নিশ্চয়ই আমরা করোনাকে জয় করবো। তবে এজন্য আমাদেরকে সবাইকে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা নীতি।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নুর কক্সবাজার আসেন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। পরে আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়। দুইজন ছাড়া সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ওসি প্রদীপের জামিনের জন্য চট্টগ্রাম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এহেছানুল হক হেনার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি আইনজীবীর প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন এবং জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। রবিবার (৩০ আগস্ট) মামলার প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিন বেসামরিক ব্যক্তিও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ জবানবন্দি দেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত