নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সবকিছু করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সড়ক নির্মাণের সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সবকিছু করে যাচ্ছে সরকার।’

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে গণভবন থেকে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণে সড়ক, সেতু, কালভাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণে যেন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ যাতে এসব থেকে উপকৃত হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হয় সেসব সড়ক চিহ্নিত করে তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে জেলা, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের গায়ে হাত না দিয়ে দুর্ঘটনার শিকার মানুষটির চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাড়ি চালাই না। তাই গাড়ি চালকদের কষ্ট বুঝতে পারি না। কারণ আমাদের অনেকের গাড়িচালক আছে। একজন চালক কয় ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারে? তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। সেটি মাথায় রেখে আমরা গাড়িচালকদের বিশ্রামের জন্য কিছু কিছু স্থানে বিশ্রামাগার নির্মাণ করে দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েদের জন্য আমরা আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৮৮টি গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেছি তাদের গাড়ি লাগবে কী না। তারা অনেকেই 'না' বলেছে। স্কুলে অনেকে নিজের গাড়িতে করে আসে। স্কুলে এসে বলে, আমি ওই গাড়িতে করে এসেছি। বাসে গেলে তো সেটা বলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘স্কুল শিশুদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা কমাতে সড়কের বাঁক কমানো হয়েছে। ধীর গতিতে যান-চলাচলের সড়কে আলাদা লেন করা হয়েছে। পথচারীদের সর্তক থাকতে হবে। কোনো দুর্ঘটনা হলে কেউ দায় নেবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ৬টি মেট্রোরেল করে দিচ্ছি। মেট্রোরেলগুলো চালু হলে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় যানজট কমে আসবে।’