ফেনীতে ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে হামলা, ২০ জন আহত

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৪৩ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪৬

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর একলাশপুর যাওয়ার পথে ফেনীর কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় সমাবেশে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশে শেষে যখন লংমার্চ সমর্থকরা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ সময় হামলা করেন ওই দুর্বৃত্তরা। তারা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করেন। এতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উদীচী, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্টের কর্মীরাও রয়েছেন। এ সময় লংমার্চের বহরে থাকে তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করেন দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন জাওয়াদুল ইসলাম, আসমা, ইমা, রাফিন, মাহমুদা দীপা, স্বর্ণা, তাহমিদা, মাহির শাহরিয়ার রেজা, জহর লাল রায়।

ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কালচারাল সেক্রেটারি ঋদ্ধ অনিন্দ্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সমাবেশ চলাকালে আমাদের সহযোদ্ধারা দেয়াল চিত্র আঁকছিলেন। সে সময় পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর যখন আমরা মিছিল নিয়ে বাসের দিকে রওনা হই তখন কয়েকজন আমাদের মিছিলে ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। তারা আমাদের বাস ভাঙচুর করে। আমাদের সহযোদ্ধা ছাড়াও একজন গাড়ি চালক আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এখান থেকে দাগনভূঞা গিয়ে আমাদের সমাবেশ করার কথা ছিল। আমরা খবর পেয়েছি সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে আমরা সেই সমাবেশ বাতিল করেছি। এই মুহূর্তে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা আমাদের প্রধান কাজ। চৌমোহনীতে আমাদের সমাবেশ এখনো অনিশ্চিত, তবে মাইজদীতে আমরা সমাবেশ করবো।

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় অভিযোগ করেন, সমাবেশ শেষে ফেরার পথে দুই দফা হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলেও আমাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেনি। উল্টো আমাদের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।