ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। ঢাকা -৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. কাজী মনিরুল ইসলাম ও বিএনপি মনোনীত সালাউদ্দিন আহমেদসহ ছয় প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছেন।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ বিরতি ছাড়াই বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। দুটি আসনেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

অন্য চার প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মীর আবদুস সবুর, গণফ্রন্টের এইচএম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, এনপিপির মো. আরিফুর রহমান এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনসার হোসেন সিকদার।

ঢাকা-৫:  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান। সবথেকে বেশি আলোচনায় থাকবেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। এরইমধ্যে কর্মী সমর্থকদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন  বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহম্মেদ। অন্যদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আত্মবিশ্বাস আছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলামের।

ডেমরা এবং মতিঝিল দুই থানায় এই আসনের মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮৬৪টি। এতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন নারী ভোটার মিলিয়ে মোট ভোটার আছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন।

নওগাঁ-৬: এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল), বিএনপির শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. খন্দকার ইন্তেখাব আলম। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ০৬ হাজার ৭২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও নারী ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৭ জন। রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলা মিলিয়ে ১৬টি ইউনিয়নে এই আসনে ১০৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭২১টি।

গত ৬ মে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুর পরে ঢাকা-৫ আসন এবং গত ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের সাংসদ ইসরাফিল আলমের মৃত্যুর পর নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হয়।