গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আরও গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৩:০৯

সাহস ডেস্ক

নোয়াখালীতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে বিবস্ত্র করে মুখমণ্ডলে লাথি মারাসহ নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পর তা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঢাকার শাহবাগ থেকে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে (৪৮) একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার ৫নং আসামি সাজু (২১) একলাশপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী বেপারী বাড়ির লোকমানের ছেলে এবং ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার মৃত হাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন উর রশীদ জানান, আদালতে দেয়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অনুসারে ইউপি সদস্যকে ২২ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।

এরআগে, এ ঘটনায় প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। এসময় মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে দেলোয়ারের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার কামরাঙ্গীচরের ফাঁড়ির গলি এলাকা থেকে ঘটনার প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এছাড়াও দেলোয়ার বাহিনী বেগমগঞ্জে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নানান রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। এমনকি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলাও রয়েছে।

সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

জানা গেছে, ২০-২৫ দিন আগে স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ পাঁচজন যুবক ওই গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় আবদুর রহিমকে আটক করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।

জানা গেছে, ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে তাকে মারধর করে অভিযুক্তরা। এসময় গৃহবধূ চিৎকার করলেও বন্ধ হয়নি নির্যাতন। 

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

এসপি আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০-২৫ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত