‘শ্লীলতাহানির’ ঘটনায় ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৪ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজার থেকে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে নিহত তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন। নিহত উলফাত আরা তিন্নি উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।

শৈলকুপা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়ালেখা শেষ করা মেধাবী ছাত্রী তিন্নির মৃত্যুতে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের নামে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেখপাড়া গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে আমিরুল, খলিল শেখের ছেলে নাইম ও লাবিবসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি জামিরুল এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিন্নি তার মা ও বোন মিন্নির সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার বোনের সাবেক স্বামী জমিরুল তিন-চারজনকে সাথে নিয়ে সেখানে যান এবং তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জমিরুল ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তিন্নির শোবার ঘরে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করেন। জমিরুলের হয়রানির পরে তিন্নি সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় শৈলকুপার টহল দল তিন্নিকে উদ্ধার করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিন্নির চাচাতো ভাই মখলেছুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে মিন্নি জমিরুলকে তালাক দেয়। সেই থেকে, তিনি তাদের বিরক্ত করতেন এবং তাকে আবারও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। জমিরুলের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ার পর তিন্নি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে হত্যার পেছনের মূল কারণ জানা যাবে।

এদিকে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনে মানববন্ধন করেন।