গ্রাহকের অজান্তে কল রেকর্ড সংগ্রহ বন্ধে হাইকোর্টের অভিমত

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১৩

সাহস ডেস্ক

ফরমাল রিকুইজিশন ও গ্রাহককে অবহিতকরণ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি থেকে কললিস্ট বা কল রেকর্ড সংগ্রহ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে বলে অভিমত দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও অভিমত দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিশু সৈকত হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে আদালত এসব মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায়ে সাক্ষর করেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট শিশু সৈকতকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সৈকতকে (৭) হত্যার ঘটনায় তার পিতা মো. সিদ্দিকুর রহমান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর এই মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এছাড়া পলাতক আসামি সবুজ মিয়া ও তাপস বন্ধু সাহাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

তবে মামলার আরেক আসামি আনিছ মিয়া শিশু হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেন একই আদালত। আইন অনুযায়ী শিশুর অপরাধের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে পারে কি-না, এ নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হলে হাইকোর্ট বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।

আদালত রায়ে বলেন, এটি আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতা যে, আজকাল নাগরিকদের মধ্যে ব্যক্তিগত অডিও-ভিডিওসহ ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়গুলো প্রায়ই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং প্রকাশিত হয়। সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আমাদের নাগরিকদের চিঠিপত্রের এবং যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ে গোপনীয়তার অধিকারের নিশ্চয়তা অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে রায়ে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত