ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: অন্যতম দুই আসামি রবিউল ও রনি গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:২৮

সাহস ডেস্ক

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনার অন্যতম দুই আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা ধর্ষণ মামলার আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের শহরের কোরেশনগর থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আর রবিউল ইসলাম (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের বাসিন্দা।

মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন,  ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে হবিগঞ্জ শহরের কোরেশনগর থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে  রনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯। 

স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তারকৃত রনি আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য রাতে শহরের এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। তবে তার দেখা পাওয়ার আগেই রনিকে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম গ্রেপ্তার করে সিলেটে নিয়ে যায়।

এর আগে, গণধর্ষণের ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিউনের নোয়ারাই ঘাট এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও মামলার চার নম্বর আসামী অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

মামলার অপর ৪ আসামি হলেন- মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। মামলার অপর তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘোরার এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে স্ত্রী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের ৮/৯ জন নেতাকর্মী স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রাইভেট কারটি তাদের জিম্মায় নেয় এবং স্ত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত