অশালীন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কিশোরীকে বোতল ভর্তি এসিড নিক্ষেপ

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫০

সাহস ডেস্ক

জানালার পাশে বসে মোবাইলে গান শুনছিল এক কিশোরী। ঠিক ওই মুহূর্তে দুই থেকে তিনজন ব্যক্তি জানালা দিয়ে বোতল ভর্তি এসিড তার মেয়ের ওপর ছুড়ে মেরে পালিয়ে যায়। এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরী।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জানালা দিয়ে বোতল ভর্তি এসিড নিক্ষেপ করা হয় ওই কিশোরীর শরীরে। এতে ওই কিশোরীর শরীরের ৪০ ভাগ পুড়ে গিয়েছে।

এ ঘটনায় বাবা মোসলেম মিয়া কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে হারুন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়।

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়, ওই কিশোরীকে বিভিন্ন অশালীন ও খারাপ প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আপন ও জাহিদ নামে স্থানীয় দুই তরুণ। তারা দুজনই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তাদের বাড়ি ভোলা জেলায়। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রাজমিস্ত্রি জোগাড়ের কাজ করে তারা।

কিশোরীর বাবা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জানালার পাশে বসে মোবাইলে গান শুনছিল তার মেয়ে। ঠিক ওই মুহূর্তে দুই থেকে তিনজন ব্যক্তি জানালা দিয়ে বোতল ভর্তি এসিড তার মেয়ের ওপর ছুড়ে মেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। বর্তমানে চিকিৎসকরা বলছেন মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেও আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. রাসেল খান জানান, এসিডে ঝলসে গেছে মেয়েটির শরীরের প্রায় ৪৫-৫০ ভাগ। ৪০ ভাগ অতিক্রম করলেই আমরা কোন পুড়ে যাওয়া রোগীকে কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখি না। কারণ আমাদের আইসিইউ’র চিকিৎসা সেবা নেই।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবারের সন্দেহের তালিকায় আপন ও জাহিদ নামে দুই তরুণ রয়েছে। তবে আমরা মামলার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে হারুন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছি। সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত