মারা গেছেন আল্লামা আহমদ শফী

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:২৭

সাহস ডেস্ক
আল্লামা শাহ আহমদ শফী

হেফাজতে ইসলামের আমির ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা গেছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা ছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এছাড়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক শেখ আহমদও তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এরপর সন্ধ্যার ৭টার দিকে শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর খবর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।

মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে করে উনাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার খানিকটা পর তিনি মারা যান। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিলো।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ জানান, আহমদ শফীর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

শাহ আহমদ শফীর জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বরকম আলী, মা মোছাম্মাৎ মেহেরুন্নেছা বেগম। আহমদ শফীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তাঁর বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ পাখিয়ারটিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক। ছোট ছেলে আনাস মাদানি হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক। আহমদ শফীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) লেখাপড়া করেন। ১৯৪০ সালে তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় যান, সেখানে চার বছর লেখাপড়া করেন। ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন। হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র বিক্ষোভের পর ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালকের পদ থেকেও স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত