মেঘনার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:১২

রামদয়াল এলাকাবাসী আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক | ছবি: সাহস২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার সোনালী গ্রাম, বালুরচর, চর আলগী এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শনে আসেন।

পরিদর্শন শেষে রামদয়াল এলাকাবাসী আয়োজিত এক সভায় অংশ নেন। রামগতি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)  আবদুর ওয়াহেদ মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, সবার সুদক্ষ কর্মপ্রচেষ্ঠায় অতিদ্রুত মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রামগতি রক্ষা পাবে। তবে সকলকে একটু ধর্য্য ধরতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, ভাঙন কবলিত এলাকায় আপদকালীন সময়ে জিও ব্যাগ দিতে ও শুকনো মওসুমে টেকসই বাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রামগতিবাসীর দাবী মেঘনা নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ১৬ কিলোমিটার রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ এম আমিনুল হক, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান, লক্ষ্মীপুর পাউবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী, বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুজাহিদ ইসলাম দিদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ প্রমুখ।

এর আগে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কমলনগর উপজেলার লুধুয়া বাজারের মেঘনা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে প্রতিমন্ত্রী মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলার কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, রামগতি উপজেলার অবহেলিত জনগণ তিন যুগেরও অধিক সময়কাল ধরে মেঘনার ভাঙ্গনের শিকার। এই উপজেলার হাজার হাজার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা মেঘনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার ভাঙন কবলিত মানুষ জায়গা-জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত