জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠ উদাহরণ: জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৩৮

সাহস ডেস্ক

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সে কারণেই দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই জিসিএ অফিস খোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর)  গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন (জিসিএ)-এর বাংলাদেশ কার্যালয় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব বান কি মুন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন,  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ভার্কুইজেন।

বান কি মুন বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সে কারণেই দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই জিসিএ অফিস খোলা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরো এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক কার্যালয়টি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কার্যকর অভিযোজন সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে একের পর এক দুর্যোগ মোকাবিলা করে চলেছে, তা প্রশংসার দাবিদার। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া করোনার এই সময়েও বাংলাদেশের সরকার খুব সাবধানেই সমস্যার সমাধান করে চলেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতাও বাড়ছে। যে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা এখন খুবই কম। বাংলাদেশে জিসিএ অফিস খোলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্ষেত্রে একটি মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সরকার যথাযথভাবে কাজ করে চলেছে। আগামীতেও আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো।’ এই কার্যালয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কার্যকর অভিযোজন সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ এশিয়ার সরকার, সিটি মেয়র, ব্যবসায়ী নেতারা, বিনিয়োগকারী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জিসিএ কার্যালয়টি মূলত পরিবেশ অধিদফতরের ভবনেই উদ্বোধন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ভার্কুইজেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু সহিষ্ণুতা জোরদারকরণে অনেক উদ্ভাবনী সমাধান রয়েছে। এই অঞ্চলের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য তাদের যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি প্রয়োজন। সমাধান হিসেবে জিসিএ-এর ভূমিকার মাধ্যমে জিসিএ বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সবচেয়ে কার্যকর অভিযোজন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত