ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় যা যা দরকার সবই দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৪১

সাহস ডেস্ক

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় খোঁজ খবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, তার চিকিৎসার প্রয়োজনে যা যা দরকার, তার সবই দেওয়া হবে।

রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ৮ জন ডাক্তার আড়াই ঘণ্টা ধরে সফলতার সঙ্গে অপারেশন করেছেন। এখন রোগী অনেকাংশে ভালো আছেন। উনার ডান দিকের অংশটা এখনও অবশ আছে। ডাক্তাররা বলেছেন ফিজিক্যাল থেরাপি দিলে আস্তে আস্তে এটা ভালো হয়ে যাবে। এরকম একটা জটিল রোগীকে সফলতার সঙ্গে নিউরো সায়েন্স চিকিৎসা দেওয়ায় আমরা গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ রোগী সম্পর্কে সবসময় খবর রাখছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আগামীকাল সকালে ৭২ ঘণ্টা শেষ হবে। এখনও ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়নি। দোয়া করি, ইনফেকশন যেন না হয়। আমি নিজ চোখে দেখে আসছি, রোগী সুন্দর ব্যবস্থাপনায় আছেন এবং সবকিছু ভালোভাবে চলছে। এখন রোগী যে পর্যায়ে আছেন, তাতে দেশের বাইরে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তখন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। মেয়েকে বাঁচাতে এলে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে। উনারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত