বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত ছিল

প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৫১ | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৫২

অনলাইন ডেস্ক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি জানতে চাই, এই খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল? বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে কারা তাদের পুরস্কৃত করেছিল? যাতে খুনিদের বিচার না হয় সেজন্য মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল কারা?

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। সত্য জাতির কাছে চাপা দিয়ে কারও কোনও লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের এই ভূমিকা, ১৫ আগস্টের খুনিদের এসব সুবিধা কে দিয়েছিল-বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এসবের জবাব চায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন- জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে হত্যা ও বিচারহীনতার রাজনীতি পরিপুষ্ট হয়েছে। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করে হাওয়া ভবনে বসে তারেক রহমান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল এ দেশের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্টের সর্বশেষ সংযোজন। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনৈতিক বন্ধনে যে উঁচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল, ২১ আগস্টের হামলার মধ্য দিয়ে তা আরও উঁচুতে উঠে যায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক, রশিদ, মাজেদরা মিডিয়ায় নিজেদের সাক্ষাৎকারে বলেছে। জড়িত ছিল বলেই খুনিদের পুনর্বাসন ও বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতেই জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানে পাস করে দায়মুক্তির বিধান করে জিয়া।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিশোধপরায়ণ নয়, প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় বলেই উদার চিত্তে মানবিক হয়ে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। বিএনপি খালেদা জিয়ার জন্য ৫শ’ লোক নিয়ে একটা মিছিল করতে পারেনি। আজ এই দাবি ফখরুল করতে পারবেন না খালেদা জিয়াকে তারা লড়াই করে মুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনাই তাকে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন।