হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসার মোরশেদুল হাসান বরখাস্ত

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২০, ১৯:০৫

সাহস ডেস্ক

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৮ সালে করা বিভাগীয় মামলায় তদন্ত শেষে হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসার মোরশেদুল হাসান সোহেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোহেল এর আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মাত্র একদিন কারাগারে থেকে পরদিন জামিনে মুক্তি পান। এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারের সূত্রে ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন।

রবিবার (১৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরে এ বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

গত ১১ আগস্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি হাইকোর্টে বেঞ্চ অফিসারের দায়িত্ব পালন করলেও নিজেকে কখনও ব্যারিস্টার, কখনও বিচারক বলে পরিচয় দিতেন। গত ৬ আগস্ট এক নারীসহ তাকে রাজধানী মিরপুরের পীরেরবাগের ঝিলপাড়ের তার নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার দুটি বিলাসবহুল গাড়িও জব্দ করে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, গত ৬ আগস্ট তার থানার সাব-ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান অভিযান চালিয়ে রানা মণ্ডল নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। এ সময় তার কাছে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানান, এই ইয়াবা তিনি মিরপুর এলাকার ‘মাদক সম্রাট’ সোহেলের কাছ থেকে কিনে এনেছেন। তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে পরে যাত্রাবাড়ী থানা ও মিরপুর থানার পুলিশ ওই দিনই অভিযান চালায় মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগের ৩১৫ নম্বর বাড়ির (তাসমিম বিজয় অ্যাপার্টমেন্ট) চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে। সেখানে গিয়ে ফাতেমা ইসলাম চাঁদনী নামের আরেক খুচরা মাদক বিক্রেতাকে পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আর সোহেলের কাছে পাওয়া যায় ৬০০ পিস ইয়াবা। পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, মোরশেদুল হাসান সোহেল নামের একজন বেঞ্চ অফিসার, সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ওই শাখায় বেঞ্চ অফিসার হিসেবে অ্যাটাচ আছেন।

পুলিশ বলছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় তার সম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিতে পারেনি তারা। ইয়াবা বিক্রির টাকায় তিনি দুটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। এর মধ্যে গত কোরবানির ঈদের আগে ৯৫ লাখ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছেন, যেটির ওপর এখনও বসেনি নম্বর প্লেট।

সোহেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাহেবগঞ্জ এলাকায়। তার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তিনি এখন বৃদ্ধ। ছেলের অন্যায় দেখেও কিছু করতে পারছেন না বলে পুলিশকে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত