মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় সাক্ষীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২০, ১২:৩৭

সাহস ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রাথমিক তদন্তে সাক্ষীদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন। তাদের বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, ঘটনার আগেই বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাক্ষীদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও আগে থেকেই জানতো। এ কারণেই তাদের গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে আনা হয়েছে। 

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিন সাক্ষীর মধ্যে একজন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য। তিনি ঘটনার আগেই ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা হত্যার বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করছে। তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেছেন এই মামলার তিন সাক্ষী মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তারা আসলে কী দেখেছে এবং ঘটনার সময় তাদের কার অবস্থান কোথায় ছিল তা জানার জন্য র‌্যাব কর্মকর্তারা গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। সাক্ষীদের কথাবার্তায় বিভ্রান্তি ও পৃথক পৃথক তথ্য পাওয়ায় তাদের গ্রপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

র‌্যাব সূত্র আরও জানায়, এই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী হলো সিফাত। এছাড়া নিহত সেনা কর্মকর্তার সঙ্গী হিসেবে রিসোর্টে অবস্থানকারী শিপ্রাসহ অন্যদের সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। প্রাথমিকভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

র‌্যাব জানায়, সিনহা হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ফোনালাপ ও ভিডিও ফুটেজ বের হয়েছে, এর সবকিছুই আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ঘটেছিল, নাকি পূর্বপরিকল্পিত ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গুলির ঘটনাটি ঘটলে সেখানে আসলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং পূর্বপরিকল্পিত হলে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং কী উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে এর সবকিছুই খুঁজে বের করা হচ্ছে।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত