ডিবি কার্যালয়ে আরিফকে দেখে ক্ষেপে যান সাবরিনা

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২০, ১৩:১৯

সাহস ডেস্ক

জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ চৌধুরীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডিবি কার্যালয়ে আরিফকে দেখে ক্ষেপে উঠেছিলেন সাবরিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় তাদের আরও একবার মুখোমুখি করা হয়েছিল।

সাবরিনা বলেন, আরিফের জন্যই আজ তার এই অবস্থা। একই সঙ্গে করোনা জালিয়াতির বিষয়ে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও অস্বীকারও করেন তিনি। আরিফ জানিয়েছেন, জালিয়াতির বিষয়ে তার স্ত্রী সাবরিনাও সবকিছু জানতেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুজনকেই পৃথক ও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জালিয়াতির বিষয়ে তাদের কার কী ভূমিকা ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, জেকেজি যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নামে জালিয়াতি করতো তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন আমরা আরিফ বা সাবরিনা কার কতটুকু ভূমিকা ছিল তা নিরূপণ করার চেষ্টা করছি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জেকেজি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হতো। পরে রোগীর লক্ষণ দেখে ভুয়া সনদ দেওয়া হতো। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ চৌধুরী এসব বিষয় স্বীকার করেছেন। এছাড়া জেকেজির একজন কর্মচারী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও এসব তথ্য জানিয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, আরিফ জানিয়েছেন, তারা করোনা পরীক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। বিদেশিদের কাছে পরীক্ষার জন্য একশ থেকে ৩শ’ ডলার পর্যন্ত নিয়েছে। কিন্তু দেশি-বিদেশি কারও নমুনাই পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়নি। সব রিপোর্টই দেওয়া হয়েছে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত