প্রতারণা, ঠকবাজির জগতে আইডল সাহেদ: র‌্যাব

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২০, ১৯:২৩

অনলাইন ডেস্ক

প্রতারণা, ঠকবাজির জগতে আইডল সাহেদ। সে প্রতারণাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত। প্রতারণাকে ব্যবহার করে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠগবাজি করে কীভাবে এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, যা একটি অনন্য খারাপ দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাহেদের জাল সার্টিফিকেটে প্রতারিত অনেক ভুক্তভোগী র‌্যাব ও পুলিশে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানোর পর তার একের পর এক অপকর্ম সম্পর্কে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি বলেন, রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জাল সনদ দেয়া হতো। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। যে সনদগুলো শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে, তা জাল। এই সনদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তি ও শিক্ষাজীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ রকম অনেক ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।

সাংবাদিক, রাজনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাহেদের ছবি থাকার বিষয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সাহেদের ছবির বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। কারও সঙ্গে কারও ছবি থাকা মানে এই নয় যে, তিনি তার পৃষ্ঠপোষক। যে কারও সঙ্গে বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মানুষ ছবি তুলতে চাইবেই। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তার মানে এই নয় যে, ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাহেদকে একজন প্রতারক জেনেও তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। তবে এর পেছনে যদি কারও পৃষ্ঠপোষকতা থাকে, সেটি নিশ্চয়ই তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখবেন।

আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট করে সবাইকে জানাতে চাই, সাহেদের পাসপোর্ট আমাদের কাছে। আমরা জব্দ করেছি। সে যদি দেশ ত্যাগ করতে চায়, তাহলে সেটা তার জন্য অবৈধ পন্থা হবে। সে যাতে কোনোভাবেই দেশত্যাগ না করতে পারে, সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্কলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।