আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি ডা. সাবরিনার

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২০, ১৪:৩১

সাহস ডেস্ক

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, জেকেজির চেয়ারম্যান আমাকে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি জেকেজির চেয়ারম্যান না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি নির্দোষ।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরের আগেই সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ড আবেদন করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। অপরদিকে সাবরিনার পক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চান আইনজীবী ওবায়দুল হক ও সাইফুল ইসলাম সুমন।

শুনানি চলাকালে ড. সাবরিনাকে কান্না করতে দেখা যায়। আদালতের ভেতরে তিনি অস্থির ছিলেন। তার পক্ষে এক আইনজীবী মৌখিকভাবে জামিন চান। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

শুনানিতে সাবরিনার পক্ষে আইনজীবী ওবায়দুল হক ও সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ডা. সাবরিনা সরল ও সৎ বিশ্বাসে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি ওই হাসপাতালের অপকর্মের কথা আগে জানতেন না। জানলে তিনি হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ টানতেন।

শুনানির একপর্যায়ে ডা. সাবরিনা বলেন স্বামীর প্রতিষ্ঠানে সরল বিশ্বাসে কাজ করেছি। এসব অপকর্ম সম্পর্কে আমি জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এক ভুক্তভোগীর করা এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাবরিনার স্বামী আরিফুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এর আগে গতকাল (রবিবার) দুপুরে আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত