যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না: কাদের

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২০, ১৪:৩০

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। সড়ক-মহাসড়কের ওপর কিংবা পাশে অনুমতি দেওয়া যাবে না। কেনাবেচায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানো এবং ঈদযাত্রা করোনা সংক্রমণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কয়েকটি জেলায় পশুর হাট বসানোর পরামর্শ দিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরামর্শ খুবই প্রাগমেটিক এবং বাস্তবায়নে সম্ভব হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন। একদিকে সংক্রমণ রোধ, অন্যদিকে জীবনে নির্বাহ দুইয়ের মাঝে সমন্বয় করে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পশুর হাট সীমিত করার কথা বলেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও আজ বসছে। এ বিষয়ে আমি দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ মাঠ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো সংক্রমণের বিস্তার রোধে সীমিত সংখ্যক পশুর হাটের অনুমতি দিন।

তিনি বলেন, পশুর হাট সংখ্যায় কমিয়ে আনলে কেনাবেচায় বাড়তি চাপ তৈরি হবে। এ চাপ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হতে পারে সম্ভাব্য বিকল্প। তাই অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জনগণের জীবন জীবিকার ওপর সরকারের কোনো দায়দায়িত্ব নেই বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার যখন নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আপনারা সমালোচনা করেছিলেন কেন? লকডাউনের জন্য চাপ তৈরি করে এখন তিনি জনগণের জীবিকার কথা বলছেন। বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনৈতিক চরিত্র এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের অবহেলা আর অজ্ঞতার জন্য নাকি পরিস্থিতি এমন হয়েছে। আমি জানতে চাই করোনা মহামারিতে বিশ্বের কোন দেশ বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে সফলতা পেয়েছে? কোন দেশ হিমশিম খাইনি? সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জনগণকে সাথে নিয়ে সংকট মোকাবেলার। আপনারা তো বলেছিলেন রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকবে। সেটি এখনো হয়নি বলে কি আপনাদের গাত্রদাহ? সরকার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা বিষোদগার ছাড়া এ সংকটে কী করেছেন? সরকারকে সহযোগিতা দিয়েছেন জনকল্যাণে? যাদের সময় দেশ দুর্নীতিতে অতলে ছিল, দুর্নীতিবাজদের ছিল অভয়ারণ্য, যারা নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭-ধারা বিভক্ত করে দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে এনেছে। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতির বিচার করেনি- তাদের মুখে দুর্নীতির কথা বলা ভূতের মুখে রাম নাম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত