ভোট দিতে এসে মারা গেলে বা আক্রান্ত হলে দায় কমিশনের নয়: সিইসি

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২০, ০৩:৩৯

সাহস ডেস্ক

ভোট দিতে এসে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বা আক্রান্ত হলে, সেই দায় নির্বাচন কমিশনের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ভোটারদেরই সাবধানতা বাড়াতে হবে। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় হাত ধোয়াসহ সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা হবে।

শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টায় বগুড়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এর আগে সিইসি জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অংশ নেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় রেখেই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। আসন শূন্য হওয়ার পর থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে তিন মাস পূর্ণ হওয়ার এক দিন আগে বন্যা ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বাধ্য হয়ে এই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করতে হচ্ছে। ১৪ জুলাই ভোট গ্রহণ ছাড়া ভোট পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সিইসি বলেন, উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন। যদি কেউ অংশ না নেয়, তবে তা নির্বাচন কমিশনের দায় নয়। যেসব ভোট কেন্দ্র বন্যাকবলিত সেসব কেন্দ্রের ভোট বিকল্প কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিকল্প কেন্দ্রগুলোর পরিচিতি করতে ভোটারদের মাঝে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, বগুড়া-১ আসনে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। ভোট গ্রহণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনো কিছু হোক না কেন সংবিধানে বাইরে কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করবে।

সিইসি বলেন, অন্যবার ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হতো এক দিন আগে। এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই ভোট গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে, যাতে ভোটাররা হাত ধুয়ে ভোট দিতে পারেন। ভোটাররাও মাস্ক পরে ভোট দিতে আসবেন। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মাস্ক খুলে চেহারা দেখাতে হবে।

এসময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, ডিজিএফআই’র জেনারেল স্টাফ কর্নেল নাজিম উদ্দিন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিন, বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্সহ  সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত