সুনামগঞ্জে পানিবন্দি ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ০৩:২৬ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০, ১৫:৩৩

অনলাইন ডেস্ক

ফের উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ পরিবার।

শনিবার (১১ জুলাই) সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ধর্মপাশাসহ জেলার ১১ উপজেলা ও চারটি পৌরসভার বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। গ্রামীণ সড়কগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে। উপজেলা ও জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে চলছে নৌকা।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে শুরুতে প্লাবিত হয় উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দফার বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতেই শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় দফা। এতে হাওর এলাকায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।

মল্লিকপুরের বাসিন্দা সাহেদ মিয়া বলেন, গতকাল থেকে পানিবন্দি আমরা। গেল সপ্তাহ থেকেই থেমে থেমে বন্যা হচ্ছে। ২৫ জুন থেকে টানা ৪ দিন পানিবন্দি ছিলাম। তবে এবার পাহাড়ি ঢলে পানির বেগ অনেক বেশি।

নবীনগর এলাকার মোতাহার মিয়া জানান, আগের বন্যায় ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আবার ঘরে হাঁটু পানি। ঘরে চুলা জ্বলছে না, খাবারও নেই। ছেলে-মেয়ে সবাইকে নিয়ে সমস্যার মধ্যে আছেন।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ১১টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ৭০ হাজার ৩২০টি পরিবার পানিবন্দি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ২৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একটি করে মেডিকেল টিম নিয়োজিত আছে।