মির্জা ফখরুলের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: কাদের

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২০, ২৩:০৮

সাহস ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেশবাসীকে গভীরভাবে হতাশ করেছে। সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক অনলাইন আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত যে বিধান রয়েছে, সেগুলো আরপিও থেকে বের করে এবং এর মৌলিক বিধান অক্ষুণ্ন রেখে বাংলায় আলাদা একটি আইন করতে যাচ্ছে। ওই প্রস্তাবিত আইনের যে খসড়া নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, আইনের অর্থাৎ আরপিও’র ওই অংশগুলো মূলত বাংলায় রূপান্তরিত করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত আইনটিতে পরিলক্ষিত হয় যে, ইতোপূর্বে ব্যবহৃত অধিকাংশ ইংরেজি ও বিদেশি শব্দের পরিবর্তে ‘বাংলা শব্দ’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলোতে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩% নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির যে বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এ সন্নিবেশিত রয়েছে, সে বিধানটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি বাস্তবসম্মত সময়সীমা নির্ধারণের জন্যই এই সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই বিধান সর্বত্রভাবে কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলামের উপ-নির্বাচন সম্পর্কিত বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব এখতিয়ার। এতে আমাদের কিছু বলার বা করণীয় নেই। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে আমরা জানতে পেরেছি, মূলত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই নির্বাচন কমিশন এই উপ-নির্বাচনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এখানে আমাদের কী করণীয়! সব রাজনৈতিক দলকে বুঝতে হবে যে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পৃথিবীর অনেক দেশে সাংবিধানিক বাধ্যবাধতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। ফ্রান্সে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের ‘সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে’ এই কথার অর্থ কী? কীভাবে অকার্যকর করা হলো? সেনাবাহিনীর মতো রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকা একটি জাতীয় বাহিনীকে নিয়ে এ ধরনের আপত্তিকর ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য মোটেও সমীচীন নয়। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য থেকে সবাইকে বিরত থাকা উচিত। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত