চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলার রিমান্ডের আসামীর হাসপাতালে মৃত্যু

পুলিশের দাবী আত্মহত্যা

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ২৩:৪০ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা হাজতে রিমান্ডে থাকা  মাদক মামলার আসামী আফসার আলী (৩৫) সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশের দাবি, গত সোমবার( ৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে হাজতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ৪৫ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়। মৃত আফসার আলী শহরের টিকরামপুর মধ্যপাড়া মহল্লার (পৌর ১৩ নং ওয়ার্ড) মহসিন আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার(৭ জুলাই) দুপুরে ময়নাতদন্তের পর আফসারের মরদেহ তার পিতার নিকট বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।

এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম ও সদর থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন,গত রোববার (৫ জুলাই) সদর উপজেলার সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা গ্রামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাব ক্যাম্পের অভিযানে ১ কেজি ১৯৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হন আফসার।এ ঘটনায় ওই দিনই র‌্যাব তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করে। পরদিন গত সোমবার(৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(্আইও) ও সদর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আব্দুস সালাম তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিন রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে থানা হাজতে আনা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে থানার ডিউটি অফিসার সিসিটিভিতে  লক্ষ্য করেন হাজতীদের বাতাস দেবার জন্য গারদের বাইরে থাকা ষ্ট্যান্ড ফ্যানের তার ছিঁড়ে হাজতের ভেতরে থাকা একটি প্লাষ্টিকের সাথে গলায় ফাঁস দেবার চেষ্ট করছেন আফসার। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে পাশেই সদর হাসপাতালে নেয়ার ৪৫ মিনিট পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের লিখিত অবগতি সাপেক্ষে পুলিশ এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করে মরদেহ ওই হাসপাতাল মর্গেই ময়নাতদন্তে পাঠায়।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক নাদিম সরকার বলেন,গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আফসারকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টা থেকে ৮টার মধ্যে তার মৃুত্য হয়। মৃুত্যর প্রাথমিক কারণ হিসেবে তিনি গলায় ফাঁস দেয়াকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন,মরদেহে অন্যকোন আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহের ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের পূর্ণ রিপোর্ট দেয়া হবে।

এদিকে রাতে ও সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) জাকিউল ইসলাম থানা ও হাসপাতালে যান। তিনি নির্বাহী তদন্ত সম্পন্ন করেন।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মাহবুব আলমের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইকবাল হোছাইন,ওসি-ডিবি ও বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক-১