ধর্ষণ থেকে বাঁচতে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ১৩:৪৯

সাহস ডেস্ক

লঞ্চে ভোলা থেকে ঢাকা আসার পথে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে এক কিশোরী মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান। বর্তমানে ওই কিশোরী তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ভুঁইয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কাজের সন্ধানে ভোলার তজুমদ্দিন থেকে লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ওই কিশোরী। চরফ্যাশন-ঢাকা নৌরুটের কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চে ওঠে সে। লঞ্চে ওঠার পর থেকেই কয়েকজন স্টাফ তাকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে এবং উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যঘয়ে লঞ্চের কেবিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টাফরা টানাটানি শুরু করলে নিরুপায় হয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই কিশোরী।

ওই কিশোরী জানায়, নদীতে লাফ দেয়ার পর লঞ্চ থেকে একটা বয়া ফেলা হলেও স্রোতের কারণে সেটি ধরতে পারেনি সে। পরে তাকে উদ্ধার না করেই লঞ্চটি সেখান থেকে চলে যায়। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।

কিশোরীকে উদ্ধারকারী রায়হান জানান, তারা নদীতে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রস্তুত করছিলেন। এমন সময় চিৎকার শুনে তারা কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল জানান, কিশোরী নদীতে ঝাঁপ দেয়ার সময় ডান হাতে আঘাত পেয়েছে। জেলেরা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে, বর্তমানে ওই কিশোরী সুস্থ আছে।

তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক বলেন, চিকিৎসা শেষে কিশোরীর বক্তব্য নেয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, কিশোরীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হাসপাতালকে বলা হয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে লঞ্চের স্টাফদের ডেকে পাঠানো হবে।

কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের মালিক মো. ছালাউদ্দিন মিয়া বলেন, লঞ্চের কোনো স্টাফ এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। মেয়েটি ঝাঁপ দেয়ার পর লঞ্চ থেকে বয়া ফেলা হয়েছিল। কিন্তু ওই কিশোরী ধরতে পারেনি। সাথে সাথে অন্য একটি জেলে ট্রলার এসে তাকে উদ্ধার করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত