বিজয় হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল সিরাজগঞ্জ

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ১২:৩২

সিরাজগঞ্জে দলীয় কোন্দলের কারনে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় টানা ০৯ দিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মৃত্যু কাছে গেরে গেলেন। এদিকে, বিজয়ের মৃত্যুর খবর সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে সিরাজগঞ্জ।

০৫ জুলাই (রবিবার) বিকেলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রায় ০২ ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগের একাংশসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সিরাজগঞ্জের সাধারণ জনগণ।

প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে সংহতি প্রকাশ করে দেয়া বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য বলেন, জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা হাইব্রিড নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এনামুল হক বিজয়কে হত্যা করেছে। আমরা এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনকে অবগত করেছি।  তাঁরা ঘটনার জন্য নিন্দা জানিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি যারা নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং মদদদাতা সবাইকে শাস্তি পাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী ইসহাক আলী, যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল বারী সেখ, প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী পিয়ার, যুব বিষয়ক সম্পাদক মো: বদরুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল কায়েস তপন, উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম জিহাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাবেক সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ।

সিরাজগহ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, এনামুল হক বিজয় আহত হওয়ার পর থেকেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যা আজও বিদ্যমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুন বিকেলে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে আসার পথে শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। সে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জামতৈল সরকারী হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এবং কামারখন্দ উপজেলার চালা শাহবাজপুর এলাকার বাসিন্দা। আশংকাজনক অবস্থায় ২৭ জুন ছাত্রলীগ নেতা এনামুলকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত কয়েকদিন অধিকাংশ সময় সে অচেতন ছিল। এ ঘটনায় এনামুলের বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ০২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ০৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ০৫ জনের মধ্যে ০৪ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ারধানগড়ার শিহাব আহমেদ জিহাদ (২৩) এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, জাহিদুল ইসলাম ও সাগর জেলহাজতে রয়েছেন। জামিনে মুক্ত রয়েছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত