লঞ্চডুবি ঘটনার দায় মালিক-চালক এড়াতে পারে না: শাজাহান খান

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২০, ২২:৪৯

সাহস ডেস্ক

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির যে ঘটনা ঘটেছে তার দায় মালিক-চালক এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির যে ঘটনা ঘটেছে, তার ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে চালকের গাফিলতিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িগঙ্গার শ্যামবাজার এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েতুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ৩২ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, আটজন নারী এবং তিনজন শিশু। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আখতার জানান, কোস্টগার্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

শাজাহান খান বলেন, বুড়িগঙ্গায় দিনের আলোতে যা ঘটলো, তা দুঃখজনক। পানির তীব্র স্রোত ছিল না। অতিরিক্ত যাত্রী ছিল, তাও বলা যাবে না। একটি লঞ্চ আরেকটি লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দিল। তবুও তদন্ত ছাড়া দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে যেই অভিযুক্ত হবেন, তারই সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের পর আর কিন্তু বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় ভোলায় ভয়াবহ একটি লঞ্চডুবি হলো। বহু মানুষ মারা গেল। ঈদের দিন। আমি নামাজ পড়েই রওনা হলাম। তদন্ত হলো। লঞ্চটি ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর। নকশা যেমন অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, সেভাবে বানানো হয়নি।

সাবেক মন্ত্রী বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের লঞ্চ বলে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। আমরা ব্যবস্থা নিলাম। নৌ-পুলিশ ছিল না। আমার সময় নৌ-পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়। সার্ভেয়ারের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেট একজনের জায়গায় চারজন নিয়োগ দেয়া হয়। বহু অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযুক্ত হলে রুট পারমিট বাতিল বা জরিমানা করা হয়েছে। একবার তদন্ত প্রতিবেদন সাংবাদিকদের হাতেও দেয়া হয়েছিল। তারা কেন প্রকাশ করেননি আমার জানা নেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত