বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২০, ১৩:৪২

সাহস ডেস্ক

লালমনিরহাটের প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম বলেন, উজানে পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে প্রধান নদীগুলো ছাড়াও জেলার ছোট নদীগুলোতে পানি বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানিয়েছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেশি বিপাকে পড়েছেন আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, সানিয়াজান, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের মানুষ।

আগাম এ বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চর ও নদী তীরবর্তী এলাকার চাষিরা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে শতাধিক হেক্টর জমির আমন বীজতলা। এ ছাড়া, কয়েক হাজার একর জমির ভুট্টা, বাদাম ও পাট খেতে পানির জমে আছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, প্রায় ৫০ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা ও কয়েক হাজার হেক্টর জমির ভুট্টা, বাদাম ও সবজি খেত এখন পানির নিচে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ সহায়তা বিতরন করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত