কামারখন্দে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২০, ২২:২৭

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জি আর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
 
এ ব্যাপারে ওয়ার্ডের বাড়াকান্দি গ্রামের তালিকায় নাম থাকা চাল বঞ্চিত কয়েকজন ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
 
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে লক ডাউনের সময় অসহায়, ঘরবন্দী মানুষকে সহায়তার জন্য নয় দফায় জি আর তালিকার প্রত্যেককে দশ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়ার কথা। কিন্তু বাড়াকান্দি গ্রামের বেশ কয়েকজন তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। অনেকেই দশ কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি করেও চাল পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
 
চাল বঞ্চিত আব্দুল হাকিম ও গোলবার হোসেন,খোরশেদ সরকার বলেন, তালিকায় নাম আছে জানি ই না। আমরা কিছুই পাইনি। আমাদের চাল হয়তো মেম্বার তুলে নিছে। রবু মন্ডল বলেন, আমি ত্রাণ পাইনি আফসোস নেই কিন্তু আমার নাম তালিকায় দিয়ে মেম্বার চাল জি আর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে  করেছে। এ প্রতারণা জানার পরেই লিখিত অভিযোগ করেছি। চাল বঞ্চিত মঞ্জুর হোসেন ও আয়নাল সরকার জানান, আমাকে এক কেজি চালও দেয়নি। আমার কাছ থেকে আইডি কার্ড, তথ্য নিয়েছে ঠিকই।
 
চাল আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। যারা চাল নিতে আসে নাই আমি তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল পৌঁছে দিয়েছি।
 
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে সঠিক ভাবে চাল বিতরণ করেছি। আমার জানা মতে জি.আর চাল বিতরণে কোন রকমের দূর্নীতি হয়নি।
 
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জি.আর চাল বিতরণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানেন। এছাড়াও দেখা শোনার জন্য ট্যাগ অফিসার রয়েছেন।