লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বাল্যবিয়ে!

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২০, ২০:৪৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়ার মধ্যস্থতায় নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ছেলের নাম মো. আল আমিন (১৫) ও মেয়ের নাম নাছরিন আক্তার (১৪)।

২৮ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বলিরপুল বাজার এলাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় এ বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ৭ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

নাছরিন আক্তার উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের জামাল উদ্দিনের মেয়ে ও আল আমিন চর কালকিনি ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ছেলে। তারা চর শামছুদ্দিন জাহেরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন আত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আল আমিন ও নাসরিন তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আল আমিন ২০১৯ সালের জেডিসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।’

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, আল আমিনের সঙ্গে সহপাঠী নাছরিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঈদের দিন (২৬ মে) তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলীকে জানায় স্বজনরা। উভয় পক্ষের সম্মতিতে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে এ বাল্যবিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া জানান, ‘বর-কনে উভয়পক্ষের লোকজন আমার কাছে আসে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখে বয়স ঠিক থাকায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে এ বিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

চরমার্টিন ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাকসুদুর রহমান জানান, ‘জন্মসনদ অনুযায়ী ও দুইপক্ষের সম্মতিতে আমি বিয়ের পড়িয়েছি। সনদে বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা তা আমি জানি না৷ বর-কনে যে নবম শ্রেণিতে পড়ে তা আমাকে কেউ জানায়নি।’

এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সত্যতা মিললে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর-কনেসহ সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত