পথিমধ্যে ঝামেলা হওয়ায় হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২০, ০৪:৫৭

সাহস ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে একটি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মিজদা শহরের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের ২৬ জন বাংলাদেশি ও বাকি চারজন আফ্রিকান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার জাতীয় ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) জানায়, সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মিজদা শহরের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জিন্টনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, দুঃখজনকভাবে ২৬ জন নিহত, ১১ জন আহত। পাচারকারীরা ত্রিপলি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে তাদের হত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোনো দেশে তাদের পাচার করা হচ্ছিল। পথিমধ্যে তাদের সাথে কোনো ঝামেলা হওয়ায় পাচারকারীরা তাদের মেরে ফেলেছে।

লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সকল অভিবাসী মিজদা শহরের এক মানবপাচারকারীচক্রের কাছে জিম্মি ছিলেন। কোনোভাবে ওই পাচারকারী গতরাতে অভিবাসীদের হাতে খুন হন। পরে পাচারকারীর সহযোগী এবং আত্মীয়স্বজনরা জিম্মি অভিবাসীদের ক্যাম্পে নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ২৬ জন বাংলাদেশীসহ ৩০ জন মারা যান।

দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, মিজদা শহরে মানবপাচারকারী চক্র ও অভিবাসীদের মধ্যে টাকার জন্য মারামারি হয়। এতে মানবপাচারকারী চক্রের একজনের মৃত্যু হয়। তারই প্রতিশোধ নিতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।

প্রবাসীদের কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নাসরিন জাহান বলেন, আমরা বিস্তারিত জানতে শ্রম পরামর্শদাতার (লিবিয়ার) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। মনে হচ্ছে, হত্যার আগেই তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা ম্যাসহির বলেন, এই ট্র্যাজেডি থেকে আমরা শেখার চেষ্টা করছি এবং আরও বিস্তারিত জানান চেষ্টা করছি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা বেঁচে আছে তাদেরকে পাশে আছে আইওএম।

এ বিষয়ে লিবিয়ার পশ্চিমা-সমর্থিত জাতীয় সরকার (জিএনএ) জানিয়েছে, মানবপাচারকারী চক্র ও অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে যে বিরোধ চলে আসছিল, তার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত