ঈদ উদযাপনে ১৪ নির্দেশনা ডিএমপির

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ০০:০২

অনলাইন ডেস্ক

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (২২ মে) ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো জানানো হয়েছে।

১. ঈদের নামাজের জামাতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রবেশ পথে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৫. ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

৭. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারে দাঁড়াতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।

৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।

১০. করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।

১১. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন।

১২. ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।

১৩. মালিক পক্ষ স্ব-স্ব মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

১৪. খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন, এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়।