বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে 'আমফান'

প্রকাশ : ২০ মে ২০২০, ০২:৪৩

সাহস ডেস্ক

ঘণ্টায় গড়ে ২০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে এগোতে থাকা সুপার সাইক্লোন আমফান বুধবার (২০ মে) দুপুরের পর থেকে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ যেকোনও সময় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে আমফান।

মঙ্গলবার (১৯ মে) দিবাগত রাত থেকে এই ঝড় উপকূলের দিকে আসতে শুরু করবে। এর প্রভাবে বুধবার মোংলা ও পায়রা বন্দরে দেওয়া হবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত আমফান উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

জানা গেছে, আমফানের বেশি প্রভাব পড়বে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রায়। এসব এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, ভারী বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনও আমরা বন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত দেখাতে বলছি। বুধবার মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হবে। এরইমধ্যে দেশের আবহাওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঢাকাসহ উপকূলের জেলাগুলোতে এখন বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। আমফান যত এগিয়ে আসবে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টির পরিমাণ তত বাড়বে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আর উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ মে অমাবস্যা থাকায় এর প্রভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে জোয়ার। ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং আশপাশের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত