ভয়ঙ্কর গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২০, ২১:৩৫

সাহস ডেস্ক

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি আজ, শনিবার বিকেলের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। তাইল্যান্ড ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘আমফান’।

মঙ্গলবার (১৯ মে) অথবা বুধবারে (২০ মে) এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবর জানিয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তরমুখী হলেও, পরে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগোবে। এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে মঙ্গল-বুধবার এ রাজ্যের উপকূলে ‘আমফান’-এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি রবিবার নাগাদ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার নাগাদ এর গতি ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমতে থাকবে।

তবে আছড়ে পড়ার সময় আমফান কতটা শক্তি বাড়াবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এখন থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দিঘা থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে আগানোর পরও বাঁক বদল করে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’।  ৮১ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঝড়ের প্রভাবে প্রচণ্ড বর্ষণ ও জলোচ্ছাসে বাংলাদেশ উপকূলের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর পাশাপাশি বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়, গাছাপালা উপড়ে পড়ে এবং কোথাও কোথাও বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত